বান্দরবানেরর রুমার পাইন্দুতে শনিবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রোয়াংছড়ির মংবাতং এলাকার সাঙ্গু নদীর তীর থেকে চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বান্দরবানের রুমার পাইন্দু ইউনিয়নে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীর দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কিন্তু আজ সকালে রোয়াংছড়ির সাঙ্গু নদীর পাড়ে চারজনের মরদেহ পড়ে আছে বলে খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা নোয়াপাড়ায় কমব্যাট পোশাক পড়া একটি সশস্ত্র গ্রুপ পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ ক্যাডার উনুমং মারমাকে (৪৫) গুলি করে আহত করে। এরপর তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় পালংক্ষ্যং এলাকায় ওত পেতে থাকা পিসিজেএসএস এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ অপহরণকারীদের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এসময় ইঞ্জিন বোট থেকেও পাল্টা গুলি চলে। পরে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নদীর পাড়ে ৪টি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ মগ ন্যাশনাল লিবারেশন পার্টি (এমএনএলপি) ক্যাডাররাই কমব্যাট পোশাক পরিধান করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, এমএনএলপি সদস্যরা পিসিজেএসএস সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা জনসংহতি ক্যাডারদের এমবুসের মুখে পড়ে।
এমএফ/এফএম
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।