বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ

চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচি

আজ রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।

সেদিন শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন, ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার শ্রবণশক্তি।

ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ সবমিলিয়ে মারা যান ২৪ জন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী। আহত হন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। আহত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অনেকে এখনও স্প্লিন্টারের আঘাত নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এর মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে সন্ত্রাসের নজিরবিহীন নৃশংসতা দেখে বিশ্ব। রক্তমাখা বিভীষিকাময় রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় ঠায় হলো ২১ আগস্ট।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঘটা এই হত্যাযজ্ঞে দুইটি মামলা হয়। একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি বিস্ফোরক আইনে মামলা। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালে রায় দেন আদালত। দুই রায়ে মোট ৪৯ জন আসামির মধ্যে আদালত ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকি ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। মামলাটি এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

এদিকে ২১ আগস্ট উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে সকাল ১০টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। নিহতদের স্মরণে হবে আলোচনা সভা। এতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

চট্টগ্রামে কর্মসূচি :
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ সকল শহীদদের স্মরণে ১৮তম বার্ষিকীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আজ রোববার বিকাল ৩টায় এক বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সকল কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, একই কর্মসূচি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১৫টি থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড পর্যায়ে পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ হামলার মূললক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।