বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিনের আরেক খুনি জিএস হেলাল গ্রেপ্তার

২০০৩ সালে চট্টগ্রামে রেল কর্মচারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত হেলাল উদ্দিন প্রকাশ জিএস হেলালকে গ্রেপ্তার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। হেলাল উদ্দিন বাঁশখালীর উত্তর জলদীর মোফাজ্জল আহাম্মদের ছেলে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ২টায় খুনি হেলালকে নগরীর লালদীঘি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।
তিনি চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, ২০০৩ সালে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন। সেই হত্যা মামলায় হেলাল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এতদিন ফেরারি ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আজ দুপুরে তাকে লালদীঘি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি সন্তোষ বলেন, হেলালের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি হত্যার সাজা পরোয়ানা ছাড়াও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।

এর আগে গত ৭ মে দুপুরে নগরীর খুলশী থানার আমবাগান এলাকা থেকে মাজহারুল ইসলাম ফরহাদ (৪৩) নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। ফরহাদ নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলায় মফিজ মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলো ফরহাদ।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার উত্তর আমবাগান এলাকায় রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে ঢুকে শফিউদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিনকে। তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী-১ কার্যালয়ে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

খুলশী থানা সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ২০০৩ সালের ১৪ জুন নগরীর খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারের ৩৬/এ বাসায় গুলি করে খুন করা হয় শফি উদ্দিনকে। শিপন, ইমন, হেলালসহ সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে খুন করে তাকে। ওই সময় রক্তমাখা শার্ট গায়ে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছিলো শিপন হাওলাদার।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এ হত্যা মামলায় শিপন ও ইমনকে ফাঁসি, সাত আসামিকে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেন।
২০২২ সালের ৮ মার্চ রাতে কুমিল্লা কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয় শিপন হাওলাদার ও নাইমুল ইসলাম রিপন নামে দুই আসামির।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।