বোরোর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা

বোরোর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সারাদেশের ২৭ লাখ কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সরকারে তথ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

তিনটি ধাপে বা ক্যাটাগরিতে দেয়া হচ্ছে এসব প্রণোদনা। হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৮২ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় ১৫ লাখ কৃষকের প্রত্যেককে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ২ কেজি ধানবীজ।
উচ্চফলনশীল জাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৭৩ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় উপকারভোগী কৃষক ১২ লাখ। এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাচ্ছেন।

এছাড়া, সমলয় বা কৃষিযন্ত্র ব্যবহারের সুবিধার্থে একটি মাঠে একই সময়ে ধান লাগানো ও কাটার জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এর আওতায় ৬১টি জেলায় ১১০টি ব্লক বা প্রদর্শনী স্থাপিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনী হবে ৫০ একর জমিতে, খরচ হবে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট—কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রণোদনা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর ভিত্তি করে দেশের ধান উৎপাদনের তিনটি মৌসুম লক্ষ্য করা যায়, যথা- আউশ, আমন ও বোরো। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বোরো ধানের প্রায় ২৭টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। আমনের পরই বোরো চাষ শুরু হয়। এটি একটি শীতকালীন ধান ও রবিশস্য। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সরকার উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে। বোরোর উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রনোদনা তারই একটি অংশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।