বোয়ালখালীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২০

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর রিজেন্ট টেক্সটাইলে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশসহ ২০জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এতে কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।

আজ (সোমবার) সকাল ৮টায় উপজেলার পূর্ব কালুরঘাটে রিজেন্ট টেক্সটাইলের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের জন্য আসলে তাদের কারাখানায় প্রবেশ করতে দেননি মালিকপক্ষ। এ সময় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের ওপর চড়াও হয়ে লাঠিপেঠা করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়েন।

এসময় বেশ কিছু আহত হন। আহতেরা হলেন-  আবু সহিদ রুবেল (২৭), লিজা (৩০), মো. মামুন (২২), লিজা আকতার (২০), রত্না দাশ, পুলিশ সদস্য মো. সজিব (২৭), গোলাম নবী (৫৪), মো. মহিউদ্দীন (২৭), বৃষ্টি বড়ুয়া (২৩), হাসান মাহমুদ রুবেল (২৬) ও যতীন্দ্র ত্রিপুরা (৩৫)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সঞ্জয় সেন।

শ্রমিকরা জানান, রিজেন্ট টেক্সটাইলে দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গত ১৬ মার্চ শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন বকেয়া রেখেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন মালিকপক্ষ। আন্দোলনের মুখে এর চারদিনপর এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মালিকপক্ষ। নির্ধারিত তারিখে শ্রমিকরা বেতন নিতে আসলে কর্তৃপক্ষ ৪ এপ্রিল সোমবার কারখানায় চাকুরিতে যোগদানসহ বেতন দিবে বলে আশ্বাস দিলে কর্তৃপক্ষ। মালিকপক্ষের কথা মতো শ্রমিকরা পূর্ব কালুরঘাটে জড়ো হন বলে জানান কারখানার শ্রমিক মো. আকবর হোসেন ও সমীর দাশ।

শ্রমিক মো. সালাউদ্দিন, মনির উদ্দিন, নুরুল গণি ও জাগির হোসেন জানান, কোনো কথাবার্তা ছাড়াই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। তাও দুই মাসের বেতন বকেয়া রেখেছেন। বাজারে এখন সবকিছুর দাম বেশি। এরমধ্যে রমজান মাস চলছে। আমরা গরীব মানুষ টাকা ছাড়া কিভাবে চলবো ?

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আকতার জানান, কারখানা মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তবে মালিকপক্ষের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, আমরা শ্রমিকদের মূলত রাস্তার ব্যারিকেড তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে অনুরোধ করেছি। উল্টো তারা সকাল থেকে রাস্তা আটকে রাখে। কালুরঘাট সেতুর দুইপারের যানজট ও জনদুর্ভোগ কমাতে গেলেই সংঘর্ষ বাধে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।