ভাইরাসে আক্রান্ত শীতের শিম, দুশ্চিন্তায় কৃষক

শীতকালীন সবজি শিমে মোজাইক ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়ছে কর্ণফুলী উপজেলার কৃষকরা। ফলে তারা প্রত্যাশিত ফলন ঘরে উঠাতে না পারার দুশ্চিাতায় রয়েছেন। উপজেলায় বেশিরভাগ এলাকার শিমের ক্ষেতে এ রোগের আক্রমণ ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি সরজমিনে উপজেলার বড়উঠান ডাকপাড়া, দৌলতপুর, শাহমীরপুর, ফারুক চৌধুরীর বাড়ি সড়ক, কর্ণফুলী টানেল সড়ক, ক্রসিং, শিকলবাহা, জুলধা, চরলক্ষ্যা ও চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এই রোগের প্রকৌপ দেখা গেছে।

এ রোগের প্রাদুর্ভাবে শিম গাছ মারা গেছে অনেক কৃষকের। নানা জাতের ওষুধ ছিটিয়েও কোনো উপকার পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রফিক মিয়া বলেন, প্রতিবছর রবিশস্য হিসেবে শিম, বরবটি, শসা, লাউ, গেুন টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করি। বিশেষ করে শীতকালীন সবজি শিমের চাষ বেশি করি ভালো ফসলের আশায়। কিন্তু এ বছর মোজাইক ভাইরাস রোগের আক্রমণে বেশিরভাগ শিম গাছ মারা গেছে। বাকিগুলোও হলুদ হয়ে গেছে। এ রকম রোগে শিম নষ্ট হয়েছে একই এলাকার আরো অনেক কৃষকের।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, অতিরিক্ত শীতে সাধারণত শিম গাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ শিমের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষ করে এ সময় শিমে জাবপোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। তারমধ্যে শিমের পাতার হলুদ রোগ বা মোজাইক রোগ। এ নিয়ে আমরা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে রোগ দমন করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। এ রোগ দমনে নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। বাকি রোগগুলো দমনে পটাশ সার ব্যবহার করা যেতে পারে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।