ভারতের বিরুদ্ধে টাইগারদের সিরিজ জয়

রাজধানী ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেও টাইগাররা জিতে ১ উইকেটের ব্যবধানে। এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশ। আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচের উদ্বোধনী জুটিতে বদল আনে বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

২৩ বলে কেবল ৭ রান করেন সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ৩ চারে ৩৫ বলে ২১ রান করেন পজিশন বদলানো নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়াশিংটন সুন্দরের স্লগ সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো শেখর ধাওয়ানের ধরা ক্যাচে ১ চারে ২০ বলে ৮ রান করেন সাকিব। আফিফ হোসেন ও মুশফিকুর রহিমও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২ চারে ২৪ বলে ১২ রান করে শুরুতে মুশফিক সাজঘরে ফেরত যান। নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে একই বোলারের ওভারে বোল্ড হয়ে যান আফিফ।

মাত্র ১৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচে নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ সব শটের সঙ্গে তিনি খেলছিলেন দায়িত্ব নিয়েও। তার সঙ্গে এই ইনিংসের সবচেয়ে বড় হাইলাইট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রানে ফেরা। মিরাজের সঙ্গে তার ১৪৭ রানের জুটি ভাঙে ৪৭তম ওভারে এসে। ৭ চারে ৯৬ বলে ৭৭ রান করেন রিয়াদ।

মিরাজ উইকেটের সামনে, পেছনে; বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে পেয়ে যান শতকের দেখা। নিজের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২ হাজার রান ও দুইশ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেন এই অলরাউন্ডার। মিরাজের অসাধারণ ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত থেকেছে অপরাজিতই। ৮ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৮৩ বলে ১০০ রান করেন মিরাজ। রোমাঞ্চকর অপেক্ষা শেষে ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে পূর্ণ করেন শতক।

মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭১ রানে। ওয়াশিংটন সুন্দর ৩ ও উমরান মালিক- মোহাম্মদ সিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকান কোহলি। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে এসে তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান এবাদত হোসেন। পুল করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান কোহলি। ৬ বলে ১ চারে ৫ রান করেন কোহলি।
আউট করেই ছুটতে শুরু করেন এবাদত। দৌড়ে যান ড্রেসিং রুমের কাছে। স্যালুট জানান ড্রেসিং রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পেস বোলিং কোচ গুরু অ্যানাল্ড ডোনাল্ডকে।

৬৫ রানেই চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। সেখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন শ্রেয়াস আয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। দুজন মিলে গড়েন ১০৭ রানের জুটি। দুজনেই পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির দেখাও।
এবারও বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে আকাশে ভাসিয়ে খেলতে ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়ানো আফিফ হোসেনের হাতে ধরা পড়ে আয়ার। ১০২ বলে ৮২ রান করেন আয়ার। ৫৬ বলে ৫৬ রান করা অক্ষর ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসানের হাতে।

এরপর টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে ফেলেন রোহিত। ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ২৮ বলে ৫১ রান করলেও দলকে জেতাতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক।
২৭১ রানের জবাবে ভারত থামে ২৬৬ রানে। বাংলাদেশ ৫ রানে ম্যাচ জিতার পাশাপাশি জিতে নেয় সিরিজও।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।