ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনে ভারতীয় কারিগরি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) ডে-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুই দেশই মনে করে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও বাণিজ্যিক অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার। বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে। যা দুই দেশের মানুষের সম্পর্কের শক্তিশালী গাঁথুনি। আমরা বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক কাঁধে কাঁধ রেখে এগুতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ভারত প্রতি বছরই নানা পেশার মানুষের দক্ষতা বাড়াতে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। তারই আলোকে ভারতের স্বনামধন্য ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পেশার মানুষ অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কর্তাব্যক্তি আইটেক প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের পেশাগত মান উন্নয়নে উপকৃত হয়েছে। এই প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ ভারত সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে থাকে। যেখানে বাংলাদেশসহ ১৬০ টি দেশের পেশাজীবিরা অংশগ্রহণ করে। শিক্ষা সংস্কৃতিসহ সব পেশার উন্নয়নে দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত সহযোগিতা করছে, আগামীতেও করবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামস্থ সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি উদত ঝাসহ প্রাক্তন আইটেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নৃত্য ও দুই গুণি শিল্পীর গান পরিবেশিত হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি প্রচলিত হয়। যার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও উপযুক্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রতি বছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন, সংসদীয় বিষয়াবলীর মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য ১৬১টি সহযোগী দেশে ১০ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়। আইটেক সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রধানতম এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।