ভিওআইপি ব্যবসার ‘পুরান পাপী’ নাছির আবারও র‌্যাবের জালে

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড় হাতিয়ার আব্দুল মোনাফের ছেলে নাছির উদ্দিন। গত দশকের শুরুতে জীবিকার তাগিদে যান দুবাই। দুবাই গিয়ে ভিওআইপি ব্যবসার কাঁচা টাকার ঘ্রাণ পেয়ে দেশে ফিরে শুরু করেন ভিওআইপি ব্যবসা। প্রায় অর্ধযুগ আগে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করতে গিয়ে প্রথম হাতকড়া পরেন ২০১৬ সালে, তারপর ২০১৮ সালে। কিন্তু এতেও তিনি দমে যাননি।

দ্বিতীয়বার কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও নেমে পড়েন বড় পুঁজি নিয়ে। এবার একসাথে তিনি হাজার মোবাইল সিমের সেটআপ নিয়ে নামে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়। তবে কথায় আছে, চোরের দশ দিন- গৃহস্থের একদিন।

অবশেষে র‌্যাবের জালে আটকা পড়লো ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) ব্যবসার অন্যতম মাফিয়া নাছির উদ্দিন। র‌্যাব নগরীর পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর এলাকার এ/পি-ইসমাম টাওয়ার থেকে যে সব সরঞ্জাম জব্দ করেছে তার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেল ৪টায় র‌্যাবের চান্দগাঁও কোম্পানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ। এসময় তিনি বলেন, র‌্যাবের হাতে আটক নাছির উদ্দিন এর আগেও ভিওআইপি সরঞ্জাম নিয়ে র‌্যাবের হাতে দুই বার আটক হয়েছিলেন। র‌্যাবের হাতে জব্দ হওয়া সরঞ্জামের দাম প্রায় ৮২ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার ইত্যাদি মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়লেও অনেকেই এখনো ফোনে বিদেশ থেকে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেন। দৈনিক প্রায় সাড়ে তিন কোটি মিনিট ফোন কল আসে অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে। এতে সরকারের প্রচুর টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে অবৈধ ব্যবসায়ীরা।

জানতে চাইলে র‌্যাব হাটহাজারী কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মোহাম্মদপুরের এ/পি-ইসমাম টাওয়ারে অভিযান চালাই। এতে ভিওআইপি ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত ৬টি অত্যাধুনিক ভিওআইপি ব্যবসার এন্টিনা যুক্ত মেশিনসহ তিন হাজার মোবাইল সিম জব্দ করেছি।

তাকে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।