ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতি রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মশালা

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বন্যা, খরা, ভূমিধস, টর্নেডো, শৈত্যপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভূতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছর ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। এসব দুর্যোগ পূর্ববর্তী সচেতনতা ও প্রস্তুতি নিতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পর্যায়ে ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতি রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

‘পাহাড়ি ঢালে বসবাস, ডেকে আনে সর্বনাশ’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে বর্ণমালা কমিনিউকেশন লিমিটেডের সহযোগিতায় মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কর্মশালার আয়োজন করে।

এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী কাজী সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মিনহাজ উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার মো: ইসমাইল, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো: কবির হোসেন। এছাড়া কর্মশালায় অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, ইউপি সদস্য, মসজিদের ইমাম। কর্মশালা পরিচালনা করেন বর্ণমালা কমিনিউকেশন লিমিটেডের ওয়ার্কশপ অর্গানাইজার পার্থ সিংহ ও মাহমুদুল হাসান।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গত দুই দশকে ভূমিধসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলায় ৭২৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এটির অন্যতম কারণগুলো হলো অতিবৃষ্টি, বজ্রপাত, ভূমিকম্প, মাটি খেকোদের পাহাড়কাটা, পাহাড়ি এলাকায় ইটের ভাটা গড়ে ওঠা, পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ বসতি স্থাপন করা। এসব বন্ধ করতে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ তৎপর থাকতে হবে। তাছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্বাভাসে প্রস্তুতি নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মসজিদের ইমামদের তৎপর থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে টেকসই ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিত প্রয়াসের কোন বিকল্প নাই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই। যে কোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।