ভেঙ্গে পড়লো কুমিরা জেটি, সন্দ্বীপবাসীর নতুন ভোগান্তি

কুমিরা গুপ্তছড়া নৌ রুটের যাত্রী পারাপারের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত কুমিরা অংশের জেটির একটি অংশ ভেঙ্গে পড়েছে।

শনিবার (১৪ মে) যাত্রী উঠানামায় ভোগান্তির কারনে শীপের সিডিউলে বিপর্যয় ঘটে। প্রতিদিন শীপ দুই ট্রিপ দেওয়ার কথা থাকলেও উঠানামায় অধিক সময় ক্ষেপন হওয়ায় দুপাড় থেকে ২য় ট্রিপ স্থগিত করেন বিআইডব্লিউটিসি।

২০১২ সালে নির্মিত এ জেটি একযুগ পার না হতেই বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকালে কুমিরার অংশের জেটির শেষ অংশের সিড়িটি ভেঙ্গে নদীতে পরে যায়। এতে করে কুমিরার অংশে নিরাপদে যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ভাটার সময় শীপ এবং সার্ভিস বোট থেকে লাল বোটের মাধ্যমে যাত্রীদের পানিতে নামতে হয়।

বিআইডব্লিউটিসির কমিশন এজেন্ট ইকরাম উদ্দীন ফরহাদ চট্টগ্রাম খবরকে জানায়, শুধুমাত্র সকাল ৭টায় সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের এবং সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার ট্রিপটি চালু থাকবে।
তিনি আরো বলেন, উঠানামার ভোগান্তি সহজ করার জন্য বিআইডব্লিটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ কাজ করছে। অস্থায়ী জেটি নির্মান হলে খুব শীঘ্রই ২য় ট্রিপ চালুর কথাও বলেন তিনি ।

এদিকে ভাঙ্গা জেটির পাশে লোহার অবকাঠামো দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে আরেকটি জেটি করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর কাছে লিখিত অনুমতি চান জেলা পরিষদের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন কিন্তু এ অস্থায়ী জেটি নির্মাণের অনুমতি দেয়নি বিআইডব্লিউটিএ। বিষয়টি চট্টগ্রাম খবর কে নিশ্চিত করেন কুমিরা গুপ্তছড়া রুটের কুমিরা পাশের পরিচালক জগলুল হাসান নয়ন।

সন্দ্বীপ থেকে শীপের প্রথম ট্রীপে চট্টগ্রাম আসা সন্দ্বীপ পৌরসভার এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, সন্দ্বীপের পাশে আজকে দুটি লাল বোট থাকায় উঠানামা দেরি হয়, তবে চট্টগ্রামের পাশে ৪ টি বোট থাকায় দ্রুত নামা যায়। জেটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যাত্রীরা উঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে ও বেশি সময় লাগছে বলে জানান তিনি।

বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রামের বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নয়ন শীল জানান, কুমিরা জেটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশ নিয়ে আমরা অবগত আছি। দ্রুত এর একটা ব্যবস্থা (মেরামত) করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা কাজও শুরু করে দিয়েছি।

জেলা পরিষদের ইজারাদারের উদ্যোগে লোহার ব্রিজ করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর কাছে অনুমতি চাইলেও তা না দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, অফিসিয়ালি এ কাজ বিআইডব্লিউটিএ ব্যাতীত অন্যদের অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।

সন্দ্বীপ নৌ রুটে বিগত পাঁচ বছরে ২২ জন প্রাণ হারান। গত সপ্তাহে নিহত হন এক প্রসুতি নারী। নিরাপদে রোগী পারাপারের জন্য কোন সী এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় প্রসুতি ঐ নারীর মৃত্যু হয় বলে দাবী স্বজনদের।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।