মঙ্গলবার শুরু চবির ভর্তিযুদ্ধ, চলবে ৯ জোড়া শাটল—নিরাপত্তা জোরদার

মঙ্গলবার (১৬ মে) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে চবির ভর্তিযুদ্ধ। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। এ লক্ষ্যে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে পুলিশ সদস্যরা। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, হাটহাজারী ও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কাজ করবেন তারা। এছাড়াও, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট দলের সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

সোমবার (১৫ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান প্রক্টর নূরুল আজিম শিকদার।

শাটল ট্রেনের বিশেষ শিডিউল:
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্তে। ১৬-২০ মে ও ২২-২৩ মে নয় জোড়া শাটল ট্রেন চলাচল করবে।

নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে সকাল ৬টা, সাড়ে ৬টা, সোয়া ৮ টা , পৌনে ৯টা, ১১টা ৪০ মিনিট, দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, বিকেল ৪টা এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

এছাড়াও ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৭টা ০৫ মিনিট, ৭টা ৩৫ মিনিট, ৯টা ২০ মিনিট, ১০টা, দুপুর ১টা, দুপুর দেড়টা, বিকেল ৫টা, সাড়ে ৫টা এবং রাত ৯টা ১০ মিনিটে সর্বশেষ ট্রেন শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

এছাড়া ২১, ২৪ ও ২৫ মে চলবে সাত জোড়া শাটল ট্রেন। নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টা, ৮ টা , ১০:৫ টা, ১০টা ৪০ টা, দুপুর ২:৫০ টা, বিকেল ৩:৫০টা, এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

অপরদিকে, ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে আটটা, ৯টা, ১১টা, দুপুর ১টা, ১১:৪০ টা, বিকেল ৩:৫০টা, ৪:৪০টা এবং রাত ৯টা ১০ মিনিটে সর্বশেষ ট্রেন শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

ট্রেনগুলো ঝাউতলা স্টেশন, ষোলশহর, ক্যান্টনমেন্ট, চৌধুরীহাট এবং ফতেয়াবাদ স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য থামবে।

মঙ্গলবার শুরু চবির ভর্তিযুদ্ধ, চলবে ৯ জোড়া শাটল—নিরাপত্তা জোরদার 1

এছাড়াও, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আরো বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়েছেন প্রক্টর। সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. জরুরী চিকিৎসা সেবায় প্রস্তুত থাকবে ২টি এ্যাম্বুলেন্স ও ফার্স্ট এইড সামগ্রী।
২. ৩০ টি (পুরুষ ও মহিলা) অস্থায়ী টয়লেট, ১০টি স্পটে ৫০ এর অধিক ট্যাপ দিয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
৩. ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকার ব্যবস্থা।
৪. শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থানের করার জন্য প্রভোস্ট এবং আবাসিক শিক্ষকদের অবহিত করণ।
৫. দিক-নির্দেশক এবং ম্যাপ (মানচিত্র) স্থাপন।
৬. সচেতনতামূলক মাইকিং।
৭. প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টরদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য অতিরিক্ত চার জন শিক্ষক নিয়োগ।
৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং ।
৯. ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহে যেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা চলে যেতে না পারে সেজন্য বিশেষ সতর্কতার ব্যবস্থা।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম শিকদার বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য শাটল ট্রেনের নতুন শিডিউল দিয়েছি। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন একাডেমিক ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদী।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।