মর্টগেজ ছাড়াই সিলভিয়া গ্রুপের মুজিবের হাজার কোটি টাকা ঋণ! সিঙ্গাপুরে বিলাসী জীবন

দেশে ফেরাতে আদালতের আদেশ

বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়ে সিঙ্গাপুর পাড়ি জমিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছেন ঋণ খেলাপি মুজিবুর রহমান মিলন। তিনি সিলভিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং মুহিব স্টিল এন্ড রি-রোলিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থসচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বরাবর আদেশের কপি পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান।

ঋণ খেলাপি মুজিবুর রহমান মিলনের পাসপোর্ট নম্বর সি-০৬৫০১৬৮। পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি হালিশহর হাউজিং এস্টেটের এল ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির বজলুর রহমানের ছেলে। বিভিন্ন ব্যাংকের ‘উপরের পদে’ থাকা ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতায় তিনি কোনো রকম মর্টগেজ না দিয়েই হাতিয়ে নিয়েছেন হাজার কোটি টাকা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মার্কেন্টাইল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ২৪ কোটি ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ২৫৮ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে ১৮ মার্চ ২০১৫ মামলা দায়ের করে। এই মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতেই চলমান আছে দশটি ব্যাংকের মামলা। এছাড়া বিভিন্ন অংকের চেক ডিজঅনারের ফৌজদারী মামলায় দণ্ডিত অপরাধীও মুজিবুর রহমান মিলন।

গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) আদালত এক আদেশে উল্লেখ করেছেন, “মুজিবুর রহমান মিলন তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ না করে বিদেশে পলাতক রয়েছেন। এমতাবস্থায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ‘বুনিয়াদ’ হুমকির মুখে পড়েছে এবং ব্যাংকের প্রতি আমানতকারীদের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। মুজিবুর রহমান মিলনকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় দেশে ফিরিয়ে আনার আদেশ হওয়া একান্ত আবশ্যক।”

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, মুজিবুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সাইথইস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়াসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। সব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

তবে এই বিশাল অংকের ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে মুজিবুর রহমান মিলনের কোনো প্রকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক নেই। এ বিষয়ে মুখ খুলেননি কোনো ব্যাংক কর্মকর্তাও।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।