মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য রপ্তানির নামে প্রণোদনা পাওয়ার চেষ্টা নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠানের

নারায়ণগঞ্জের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সাগর জুট ড্রাইভারসিফাইড ইন্ডাস্ট্রিজ। ওই প্রতিষ্ঠানটির সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য রপ্তানির নামে ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা অবৈধভাবে দেশে আনা এবং ২০ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা পাওয়ার অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পণ্য রপ্তানির উদ্দেশ্যে সিসিটিসিএল ডিপোতে কনটেইনারের পণ্য লোড করা হয়। বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে।রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৮২ হাজার পিস পণ্যের বিপরীতে ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৮৫ টাকা রপ্তানি মূল্য ঘোষণা করেন। কিন্তু কাস্টমের কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া যায় ২৯ হাজার ৯৩৬ পিস। যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৬ টাকা। অর্থাৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৯ টাকা অবৈধ উপায়ে দেশে আনার চেষ্টা করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার থেকে রপ্তানিমূল্যের ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা অর্থাৎ ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭২ টাকা অবৈধভাবে পাওয়ার অপচেষ্টা করে প্রতিষ্ঠানটি।

ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। পরে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ৮২ হাজার পিস পণ্যের বিপরীতে পাওয়া যায় ২৯ হাজার ৯৩৬ পিস। যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৬ টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের নির্দেশে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কাস্টম আইন ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।