মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া-বামনসুন্দর সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ,বিপাকে সাধারণ মানুষ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া থেকে বামনসুন্দর দারোগারহাট সড়কটি খানায় খন্দে ভরে থাকায় শুরু হয় সংস্কার কাজ। তবে বেশ কিছুদিন ধরে সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় যাতায়াতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। কর্তৃপক্ষ বলছে বৃষ্টির বাধায় আটকে আছে কাজ।

জানা গেছে, সড়কটি ঘিরে বসবাস তিন ইউনিয়নের প্রায় কয়েক লাখ মানুষের। প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম সড়কটি। মিঠাছড়া স্কুল, মিঠাছড়া মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কয়েক’শ শিক্ষার্থীর চলাচল এই সড়ক দিয়ে। সড়কে চলাচল করে রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, ট্রাক, বাস, পিক-আপ সহ শত শত যানবাহন। গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও গত কয়েকমাস ধরে নতুনভাবে সড়কটি সংস্কারের কাজ বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এইদিকে সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে বিভিন্ন সময় যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত সড়কটি সংস্কার না হলে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সারেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাকি শুধু কার্পেটিং ঢালাই। তবে দীর্ঘ এই সাড়ে সাত কিলোমিটারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার সম্পূর্ণ না করে গত কয়েক মাস কাজ বন্ধ থাকায় বৃষ্টি আর অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

মিঠাছড়া বাজারের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, রাস্তার এমন অবস্থায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়৷ এতে বাড়ি থেকে বাজারে আসার সময় অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে আসতে হয়। যাতে দোকানে এসে পাল্টানো যায়৷ কারণ রাস্তা দিয়ে আসার সময় জমে থাকা পানি গায়ে পড়ে পুরো শরীর ভিজে যায়।

মিঠাছড়া হাই স্কুলের শিক্ষার্থী আবু ছালেহ্ বলেন, রাস্তার জন্য একটু বৃষ্টি হলে স্কুলে আসতে পারিনা কারণ পুরো রাস্তায় পানি জমে থাকে এবং অনেক সময় গাড়ি স্লিপ কেটে পড়ে যায়। এরচেয়ে সংস্কারের আগে অনেক ভালো ছিলো।

জানতে চাইলে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল আলম দিদার বলেন, গত মাসিক উপজেলা সমন্বয় সভায় রাস্তাটির বিষয়ে উপস্থাপন করেছি। রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা, গাড়িতো দূরে থাক হেঁটে যেতেও মানুষের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আশাকরি খুব দ্রুত রাস্তাটা পুনরায় কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রণী সাহা বলেন, মানুষের সাময়িক কষ্ট হচ্ছে বিষয়টি বুঝতে পারতেছি। মূলত বৃষ্টির কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ আছে। কারণ বৃষ্টির পানিতে কার্পেটিংয়ের কাজ করলে সেগুলো উঠে যাবে। আমরা প্রতিদিন আবহাওয়া দেখছি আশাকরি আগামী ১০-১২ দিন পর থেকে পুনরায় কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।