মিরসরাই স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর প্রসার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে ভুয়া স্বাস্থ্যসনদ প্রধানসহ উপজেলার বিভিন্ন বেকারি ও হোটেল মালিকের কাছ থেকে লাইসেন্সের নাম দিয়ে রসিদ ছাড়া অর্থ নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শংকর প্রসাদ বিশ্বাস ২০১০ সালে থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন। তার কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে, উপজেলা ভিত্তিক খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন, দৈনন্দিন রিপোর্ট প্রদান, খাদ্য নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবে প্রেরণ, নমুনা ভেজাল হলে আদালতে মামলা দায়ের, পঁচা-বাসি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য জব্দ এবং ধ্বংস করা, সংক্রামক রোগের কারণ অনুসন্ধান, স্কুল ও কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান ইত্যাদি।

কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পালন না করে উপজেলার বিভিন্ন হোটেল ও বেকারিতে গিয়ে কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ দেখানো এবং লাইসেন্সের কথা বলে তাদের থেকে রসিদ ছাড়া মোটা অংকের টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘শংকর স্বাস্থ্য সনদ ও লাইসেন্সের কথা বলে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করেন। টাকা দেওয়ার পরে রশিদ চাইলে ওনি রশিদ প্রধান করেন না।’

এ বিষয়ে শংকরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ২৬ সেপ্টম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় সকলের সামনে এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুজ আক্তার সিমা বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য আইনে লাইসেন্সের কোন বিধান নেই। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ নেই। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।’

উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, লাইসেন্স চেক করা উনার কাজ নয়। এ বিষয়ে খবরাখবর নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে অবগত আছি। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর প্রসার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী জানান, লাইসেন্সের সরকারী ফি ১শ টাকা তার মধ্যে চালান ফি ৫০ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। কেও যদি অনিয়ম করে তার বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।