মুরাদ সড়কের বেহাল দশা, জন ও যান চলাচলে ভোগান্তি

হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর এবং ছিপাতলীর মধ্যকার সংযোগ সড়ক চারিয়া মুরাদসড়ক। এই সড়ক দিয়ে ছিপাতলী, মির্জাপুরের পাশাপাশি গুমানমর্দন, নাঙ্গলমোড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের চলাচল রয়েছে। যা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক হয়ে চট্টগ্রাম শহর , ফটিকছড়ি, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। প্রায় অর্ধযুগ ধরে এই সড়কের কার্পেটিং উঠে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্রিকসলিনের জায়গাগুলোতে ইট খুলে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের অভাবে এবং ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে এই সড়কটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে চলাচলে ভোগান্তির কোন শেষ নেই। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলা ও সাধারণ রোগীদের সড়ক দিয়ে চলাচলের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কাছে এই সড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন খান সুমন বলেন, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মত এলজিইডির অন্তর্ভুক্ত সড়ক আছে সবগুলোই গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এই উপজেলায় এলজিইডির রাস্তার পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় কাজ একটু ধীরে হচ্ছে। এলজিইডির অন্যান্য প্রকল্পভুক্ত সড়কের মতো এই সড়কটি যেন গুরুত্ব দিয়ে মেরামত করে তা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই সড়কটি টেন্ডারে যাবে।

ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু বলেন, এই সড়কটি মূলত এলজিইডির অন্তর্ভুক্ত। ছিপাতলী অংশ এবং মির্জাপুর অংশের ব্যাপারে ইতিমধ্যে এমপি মহোদয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আমিও বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে চট্টগ্রাম খবরকে জানান, সড়কটি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আমাকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এই সড়কটির ব্যাপারে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। শীঘ্রই সড়কটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এনে কাজ শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই সড়কে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ মানুষের নির্ভরশীলতা রয়েছে। ট্রাক, পিক আপ, কারসহ অনেক ভারি যানবাহন চলাচল করে। সড়কের নাজুক অবস্থার কারণে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।