মূল ক্যাম্পাসে চারুকলার শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা এবার মূল ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন।

চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের এক দফা দাবিতে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের হাতে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড দেখা যায়।

চারুকলার ২০১৫ -১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জহির রায়হান অভি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে সাত দিনের মধ্যেই সংস্কার কার্যক্রম এবং ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হবে। কিন্তু আমরা তার কোনো কিছুই দেখি নি। এর মধ্যে আমাদেরকে চারুকলার ক্যাম্পাস এবং হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা তাও মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমরা এখনও চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে অটল আছি। চারুকলা বন্ধ করলেও মূল ক্যাম্পাস তো আমাদের জন্য বন্ধ না। তাই আমরা মূল ক্যাম্পাসে এসে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের একটাই দাবি, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হোক।

দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী আফরিন বিনতে আলম তমা বলেন, ৯৫ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও কোন সুরাহা হয় নাই। আমাদের একটাই দাবি মূল ক্যাম্পাসে আসতে চাই। এতোদিন আমাদের দাবি ছিলো স্থানান্তরের প্রক্রিয়া যে চলতেছে তার কোনো প্রমাণ দেখানো। কিন্তু তারা আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছুই দেখাতে পারেন নি। এখন আমাদের একটাই দাবি চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তন করা। হটাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিছে। অনলাইনে ক্লাস নিবে এটা কোন সমাধান হতে পারে না। আমরা ক্লাসবকরলে সেটা ক্যাম্পাসে এসে করবো।

মূল ক্যাম্পাসে চারুকলার শিক্ষার্থীদের অবস্থান 1

প্রসঙ্গত, চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ২২ দফা দাবিতে গত বছরের ২ নভেম্বর ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। শুরুতে তাদের আন্দোলন ইনস্টিটিউটের সংস্কার কেন্দ্রীক থাকলেও পরবর্তীতে তা ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের একদফা দাবিতে রূপ নেয়।

লাগাতার আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর আহবানে শর্ত সাপেক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও সপ্তাহের মাথায় গত সোমবার আবারো ক্লাস বর্জন করে আন্দোনে যান শিক্ষার্থীদের একাংশ।

অপরদিকে একইদিন ইন্সটিটিউটের মূল ফটকে সংস্কার আন্দোলনকারীদের পুনরায় তালা দেওয়ার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের অপর একটি অংশ। এসময় তারা ক্লাস চালু রাখার দাবি জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।