মৃত্যুর ৯ মাস পর কিশোরের মরদেহ উত্তোলন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ইমরান হোসেন ইমন (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ ৯ মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা সাব্বির রহমান সানির উপস্থিতিতে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের সাপমারা এলাকা থেকে মরদেহটি তোলা হয়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম হিরু প্রকাশ আর্মি শফির খামারে ইমনকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। সে শান্তিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করে ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে ঘটনার সঠিক তদন্তের উদ্দেশ্যে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি তোলা হয়েছে। উত্তোলনের পর মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত ছাড়া এবিষয়ে কিছু বলা যাবে না।

জানা যায়, ওই কিশোর নিহতের ৭ মাস পর তাকে খুন করা হয়েছে দাবী করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন নিহতের বাবা। মামলার আসামিরা হলেন মো শফিউল আলম হিরু, বদিউল আলম, মো. ইসমাইল, মো. সোহেল, মো. ফজল করিম এবং সুজন।

মামলার বাদী নিহত কিশোরের বাবা আব্দুল কাদের বলেন, আমার ছেলের মরদেহ পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে দাফন করে দিয়েছে ওরা। আমার ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে আমি অজ্ঞান ছিলাম। পরে মানসিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।

পরে এলাকার সবার পরামর্শে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। তাই আদালতে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছি। আজ আদালতের নির্দেশেই মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় ওরা (খামার মালিক পক্ষ) সবাইকে বলেছে খামারটি আমাদের। আসলে খামারটি আমাদের না। খামারটি ছিলো আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম হিরু প্রকাশ আর্মি শফির। আমার ছেলে ওই খামারে চাকরী করতো। তাকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করাতো আর্মি শফি। বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও করতো।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।