মেজর সিনহার দুই খুনি পৃথক কনডেম সেলে, নির্দোষরা কারামুক্ত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যায় অভিযুক্ত দুই খুনি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশকে পৃথক কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে। আদালতের রায়ে যারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম। তিনি বলেন, মেজর সিনহার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের আইন মোতাবেক গতকালই কারাগারের কনডেম সেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যারা নির্দোষ প্রামাণিত হয়েছেন তাদেরকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদেরও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে ৩নং কনডেম সেলের ১নং কক্ষে ও লিয়াকতকে ৩ নং কনডেম সেলের ৩নং কক্ষে পৃথকভাবে রাখা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী প্রদীপ ও লিয়াকতকে কারাগারের বিশেষ পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত বা বাতিল না হওয়া কিংবা কার্যকর হওয়া পর্যন্ত কনডেম সেলে তারা থাকবেন।

বাকি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থানীয় তিনজনকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে এবং তিন পুলিশ সদস্যকে পৃথকভাবে রাখা হয়েছে।

রায়ে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া টেকনাফ থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেবকে পৃথক রাখা হয়েছে। প্রদীপের ঘনিষ্ট সহযোগী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিনকে সাধারণ কয়েদিদের সাথে রাখা হয়েছে।

মামলার রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপপরিদর্শক শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ, থানা-পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল মামুন জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ঘটনার ১৮ মাস পর ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত। রায়ে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ দাশ ও শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাত জনকে খালাস দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:
সিনহা হত্যায় লিয়াকত ও প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড
মেজর সিনহা হত্যা– রায় পড়া শুরু

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।