মোহাম্মদ হানিফ তার কর্মে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফ তার কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। ২৮ নভেম্বর মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ঐতিহ্যবাহী পুরানো ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৪ সালের মোহাম্মদ হানিফের জন্ম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, মোহাম্মদ হানিফ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন দুঃখী মানুষের আপনজন। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে মোহাম্মদ হানিফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালে ট্রাকমঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হলে তিনি মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালান। নিজের জীবন বাজি রেখে নেত্রীকে বাঁচাতে তার আত্মত্যাগের এই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থাকতে উদ্বুদ্ধ করবে।

মোহাম্মদ হানিফ নীতি ও আদর্শের সাথে ছিলেন সবসময় আপসহীন। কোনো ধরনের প্রলোভন তাকে কখনো তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। এই কর্মবীর জননেতা ২০০৬ সালের ২৮শে নভেম্বর ঢাকায় মারা যান। তিনি মোহাম্মদ হানিফ এর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এদিকে, প্রয়াত সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীতে ঢাকা স্টেট পরিবারের পক্ষ থেকে হযরত আমানত শাহ মাজার এবং মাজার সংলগ্ন এতিমখানায় কোরআন খতম, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।