যানজট নিরসনে কালুরঘাটে ফের চালু হচ্ছে ফেরি, উদ্বোধন নভেম্বরে

কালুরঘাট সেতুসহ উভয় পাশের যানজট নিরসনে কর্ণফুলী নদীতে আবার ফেরি সার্ভিস চালু হচ্ছে। আগামী নভেম্বরে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন হবে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।

কালুরঘাট সেতুর যানজট নিরসনে নদীতে ফেরি চালুর জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফেরির সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম পাড় পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কালুরঘাটে যানজট নিরসনসহ ভারী যানবাহন পারাপারের জন্য নদীতে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আগামী এক মাসের মধ্যে ফেরির কাজ শুরু হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন এমরান, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, সহ সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর ও পৌর প্যানেল মেয়র তারেকুল ইসলাম তারেক।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সচিব মহোদয় কালুরঘাট সেতু এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেতুর যানজট নিরসনে নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু হবে। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে কালুরঘাটে আগের মতো ফেরি চালু হবে বলে জানান তিনি।

কালুরঘাট সেতুর উভয় পাশের যানজট নিরসনে ফেরি চালু করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের আশ্বাসের বিষয়ে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, নভেম্বরে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন হবে। এর আগে এপ্রোচ সড়ক তৈরি করে পল্টুন বসাতে সময় লাগবে। এই দুই মাসের মধ্যে এপ্রোচ সড়ক ও পল্টুন বসানোসহ যাবতীয় কাজ শেষ করার জন্য সচিব সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন।

আগে যেদিকে ফেরি চলতো-এখনো সেদিকে চলবে। আগে ফেরি চলাচলের এপ্রোচ সড়কের এখন কিছুই নেই। আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। ফেরি চলাচল চালু হলে ভারী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ফেরি দিয়ে চলাচল করলে সেতুর যানজট কমে যাবে।

এ দিকে নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের শুরুতে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

এখন প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরির কাজ চলছে। তারপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সাথে লোন অ্যাগ্রিমেন্ট হবে। এরপর একনেকে উঠবে। একনেকে অনুমোদনের পর আমরা টেন্ডারে চলে যাবো। ঠিকাদার নিয়োগ হবে। পরামর্শক নিয়োগ হবে। এ সব অনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে।

অপরদিকে পুরনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর জন্য বুয়েটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে সেতু মেরামতের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে বেশি না হলেও প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করবে। সেতুটি মেরামতের পর ছোট মিটারগেজ ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।