যুবলীগ নেতা দাঊদ সম্রাট হত্যার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দলীয় কোন্দলের জেরে যুবলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ দাউদ সম্রাট (৩৫)কে হত্যার ঘটনায় আরও এক আসামি মো. নূর মোস্তফা শিমুল (৩১)কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

গ্রেপ্তার আসামি মো. নূর মোস্তফা শিমুল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আবুল মুনসুর প্রকাশ জন মিয়ার পুত্র। তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তার শিমুল যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাট হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। এছাড়া সে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী থেকে চট্টগ্রাম শহরের সিটি গেইট পর্যন্ত সংগঠিত ডাকাতি কার্যক্রমে অন্যতম মূলহোতা হিসেবে কাজ করেছে। সাম্প্রতিক সময়েও সে কয়েকটি ডাকাতির কাজ সংগঠিত করেছে। বেশিরভাগ সময়ে সে এই এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রম সংঘটিত করে গা ঢাকা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে এসে ট্রাক অথবা লরি চালায়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এরআগে গত ১৫ এপ্রিল যুবলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ দাউদ সম্রাট (৩৫)কে হত্যার ঘটনায় আরও ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দলীয় কোন্দলের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ দাউদ সম্রাটকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। ওইদিন রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান করছিল সম্রাট ও তার সহযোগী। এ সময় মাইক্রোবাসে আসা শহীদ গ্রুপের কর্মীরা অতর্কিত তাদের উপর হামলা চালায়। সম্রাটের সহযোগীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে তাদের হামলায় তিনজন আহত হয়। হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় সম্রাটের মা জেবুন্নেসা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।