‘রমজানে ভোগ্যপণ্যের ঘাটতি হবে না, পর্যাপ্ত এলসি খোলা হচ্ছে’

পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, রমজানে সাধারণত চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর, পেঁয়াজ ও ছোলা এই পাঁচটি পণ্যের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এসব পণ্যের যাতে কোন ঘাটতি না হয় সেজন্য জানুয়ারি মাসে পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে। এই এলসির পণ্য রমজানের আগেই বাজারে চলে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এসব কথা বলেন। এসব বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক সাঈদা খানম উপস্থিত ছিলেন।

মেজবাউল হক বলেন, আসন্ন রমজানে পাঁচ পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন মতো এসব পণ্যে এলসি খোলা হচ্ছে। এবারের এলসির পরিমাণ গত রমজানের আগে খোলা এলসির চেয়ে বেশি। গত বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন চিনির এলসি খোলা হয়েছিল। আর আসন্ন রমজান উপলক্ষে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চিনির এলসি খোলা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ মেট্রিক টন। ফলে গত বছরের চেয়ে চিনির এলসি বেশি খোলা হয়েছে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া এ বছর জানুয়ারিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ মেট্রিক টন তেলের এলসি খোলা হয়েছে, যা গত ২০২২ সালের জানুয়ারিতে খোলা হয়েছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন।

ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজের আমদানির পরিমাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ছোলার এলসি খোলা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ মেটিক টন‘
চলতি বছর জানুয়ারিতে পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬২ মেট্টিক টন, যা গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন।
জানুয়ারি মাসে খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮১ মেট্রিক টন। ২০২২ সালের জানুয়ারি খেজুরের এলসি খোলা হয়েছিল মাত্র ১৬ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন। আসন্ন রোজার আগেই আমাদের এসব পণ্য চলে আসবে। এজন্য কোনো নীতিসহায়তার প্রয়োজন হলে সেটাও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।