রাঙ্গুনিয়ায় গরু চুরির আতঙ্কে গ্রামে গ্রামে রাত জেগে পাহারা

রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ গরু চোরের দল। উপজেলায় গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতি রাতেই কোন না কোন এলাকার গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।

জানা যায়, গত ৩ মাসে ১৬টিরও বেশি গরু চুরি হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থানায় একাধিক গরু চুরির অভিযোগ থাকলেও গরু ও চোর কোনটাই ধরতে পারেনি বলে জানান গরুর মালিকরা।

তবে এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিলকী জানান-আমাদের রাঙ্গুনিয়া থানায় গরু চরির একাধিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা রাতে পুলিশ টহল এবং অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখছি। বেশ কয়েকজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের তিন পরিবারে হানা দেয় গরু চোরের দল । এক রাতেই ৩ ব্যক্তির ৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আফজাল চৌধুরী বাড়ির মো. বেলাল উদ্দিন ও তার ভাই নাছির উদ্দিন দুই জনের ২টি গরু চুরি হয়। একই রাতে পশ্চিম বেতাগী পেয়াদা পাড়ার মো. সেকান্দরের ৪ টি গরু চুরি হয় এক রাতে।

গরুর মালিক বেলাল উদ্দিনের ৩ সদস্যের একটি পরিবার। গ্রামে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান করেই কোনভাবে সংসার চলে। দোকানের আয়ের একটি অংশ জমা রেখে ক্রয় করেন একটি গরু। সেটা লালন পালন করছিলেন বড় করে বিক্রি করবেন ভেবে। কিন্তু এক রাতে সব শেষ।

বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি বলেন-গরু চুরির ঘটনা যেন রুটিন করে হচ্ছে। গতকয়েক মাস ধরে বেতাগী ছাড়া রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে গরু পালন ছেড়ে দিবে গরুর মালিকরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।