রাঙ্গুনিয়ায় যাত্রী সেজে ‘অভিনব কায়দায়’ গৃহবধুর স্বর্ণ ছিনতাই, একজন ধরা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে শাশুড়ির সাথে সিএনজি অটোরিকশাতে উঠেন এক গৃহবধূ। ওই সিএনজিতে চালকসহ বসা ছিলো আরও ৪ জন। কিছুদূর যেতেই চালকের পাশে বসা ব্যক্তিটি হুট করে একটি মানিব্যাগ ছুড়ে ফেলে দেন সিএনজি অটোরিকশার সামনের সড়কে। তখন সিএনজি থেমে গেলে গাড়িতে বসা কয়েকজন নেমে ব্যাগটি তুলে নেন। তারপর ব্যাগ হাতে নিয়ে ভেতর থেকে বের করেন একটি চিঠি।

চিঠি পেয়ে সবাই সেজে যান অজ্ঞ। কেউ পড়তে পারেন না, কেউ আবার চোখে দেখেন না। পরে ব্যাগটি দেওয়া হয় ওই গৃহবধুকে। তিনি খুলে দেখেন একটি চিঠি। সেটির ভেতরে টিস্যু দিয়ে মোড়ানো রয়েছে স্বর্ণের বার। টিস্যুটি হাতে নিতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরে নিজ হাতেই খুলে দেন তার গলায়, নাকে, কানে পরিহিত স্বর্ণ। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে জ্ঞান ফিরলে টের পান গাড়িতে কোন সাধারণ যাত্রী ছিলোনা। চালকসহ সবাই ছিলো প্রতারক। আর পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই তারা গাড়ির সামনে ব্যাগটি ফেলেছিলো।

বুঝতে পেরে ওই প্রতারক চক্রের সদস্যদের ঝাপটিয়ে ধরেন তিনি। এসময় সবাই পালিয়ে গেলেও রক্ষা পায়নি সিএনজি চালক। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে জড়ো হয় সাধারণ মানুষ। এসময় ঘটনা জানতে পেরে প্রতারক চক্রের সদস্য সিএনজি চালককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে সাধারণ জনগণ। প্রতারক চক্রের সদস্যদের সাথে একজন মহিলাও ছিলেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গৃহবধু।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার রোয়াজারহাট থেকে সাধারণ জনগণ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে প্রতারক চক্রের সদস্য মোহাম্মদ ইয়াকুব আলীকে (৩৬)। গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের চেংখালী এলাকার মীর আহমদের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, দুপুরের দিকে এক ভুক্তভোগী মহিলার কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা খেলে একজনকে পুলিশে সোপর্দ করে সাধারণ জনগণ। সে ওই সিএনজির চালক ছিলো। তার সাথে সিএনজিও জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা রুজু করা হয়েছে। কাল সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।