রাতে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক

দেশে ফিরছেন ইউক্রেনের অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে আটকেপড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ জন নাবিক। এখন রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছেছেন। তারা সেখানে একটি হোটেলে অবস্থান নিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো একটি দেশ হয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরবেন।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে এসে পৌঁছাবেন। সঙ্গে নিহত নাবিক হাদিসুরের লাশও পাঠানো হবে। তবে তাদের সেই জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ এখন ইউক্রেনের অলিভ বন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) উপ-মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ২৮ নাবিক একসঙ্গে আজ দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। এছাড়া জাহাজে হামলার ঘটনায় মারা যাওয়া থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেনের একটি বাংকারের ফ্রিজারে রাখা হয়েছে। সেটি দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। ভারতের মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির।

কিন্তু গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরের নোঙ্গর করার পরদিনই দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে শুরু হলে এটি আটকে যায়। যুদ্ধের মধ্যে নাবিকরা জাহাজেই ছিলেন। গত বুধবার (২ মার্চ) একটি বোমা হামলায় জাহাজে থাকা থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান। পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাংকারে রাখা হয়।

পরে হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় উদ্ধার করে মালদোভাতে নেওয়া হয়। ৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে তারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মালদোভা হয়ে রোমানিয়া পৌঁছান।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।