রোহিঙ্গাদের মুখে নির্মমতার কথা শুনলেন নোয়েস, সংকট সমাধানের আশ্বাস

কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারী সচিব জুলিয়েটা ভালস নোয়েস। এসময় তিনি ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন; শুনেন তাদের ওপর চলা সেই নির্মমতার কথা। সেই সাথে ক্যাম্পের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তার দেশ তৎপর রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন ক্যাম্পে বসবাসকারীদের।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িরবহর কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে পৌঁছায়। প্রথমে তিনি ক্যাম্প-৯–এর সার্ভিস সেন্টার পরিদর্শন করেন। এরপর ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ পরিদর্শন শেষে সেখানে ১০-১৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন জুলিয়েটা ভ্যালস নোয়েস। পরে উখিয়া ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন তিনি।

কুতুপালং আশ্রয় শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা কামাল হোসেন বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, আশ্রয় শিবিরে থাকার পরিবেশ, নিরাপত্তাব্যবস্থা, মিয়ানমারে ফিরে যেতে রোহিঙ্গারা রাজি কি না —সেসব । আমরা তাকে ২০১৭ সালে চলা বর্বর নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা ও নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা তাকে জানিয়েছি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরতে রাজি। কিন্তু ফেরার আগে মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং যেখান থেকে (রাখাইন রাজ্য) রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে, সেখানেই (নিজেদের বসতভিটায়) পুনর্বাসন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের মুখে নির্মমতার কথা শুনলেন নোয়েস, সংকট সমাধানের আশ্বাস 1

এসময় নোয়েস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতি এবং তাদের অধিকারের অগ্রগতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদাররা।

প্রসঙ্গত, পাঁচ দিনের সরকারি সফরে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে আসা জুলিয়েটা ভালস নয়েস মার্কিন সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের একজন ক্যারিয়ার সদস্য। তিনি ২০২২ সালের ৩১ মার্চ জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট হন। এর আগে নয়েস ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর ও ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

আগামী ৭ ডিসেম্বর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাইল্যান্ডের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।