র‌্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে চিঠি

এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমেরিকার দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠিতে মন্ত্রী এ অনুরোধ জানান।

চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে র‍্যাবের ভূমিকার বিষয়টিও তুলে ধরেন। এবং র‍্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার বিষয়টি রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ, র‌্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান আরও পাঁচ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে গত ১১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এই নিষেধাজ্ঞায় অসন্তোষের কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেন। র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, র‍্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, মানবাধিকার রক্ষা করে চলে।

আইন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে একটি জবাব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে ফোন করেছিলেন। তাঁদের সেই ফোনালাপে দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশকে অবহিত করার অনুরোধ করেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২৮ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকার যুক্তরাষ্ট্রে ল’ ফার্ম নিয়োগের বিষয়ে ভাবছে বলেও জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।