লাকি ভেন্যু চট্টগ্রামে এসে জয়ের ধারায় টাইগাররা, এড়ালো হোয়াইটওয়াশ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগেই সিরিজ হেরে বসেছিলো বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়লেও তিন ব্যাটারের পঞ্চাশে ভর করে ২৪৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে থিতু হতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটাররা। ফলে শেষ ওয়ানডেতে ৫০ রানের জয় তুলে নেয় তামিম ইকবালের দল।।

ইংল্যান্ডের রান তাড়ায় বাংলাদেশি বোলাররা শুরুটা ভালো করতে পারেননি। ইংলিশদের ওপেনিং জুটিটাই বড় একটা ঝড় বইয়ে দেয়। তবে এরপর দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরেছে টাইগাররা।

নবম ওভারে সাকিব আল হাসান ভাঙেন ৫৪ বলে ৫৪ রানের মারকুটে ওপেনিং জুটি। ২৫ বলে ৩৫ করে কভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন সল্ট। এরপরের ওভারে এবাদত হোসেন হানেন আঘাত। মিডঅনে মাহমুদউল্লাহর হাতেই ক্যাচ দেন মালান (০)।

এরপর সাকিবের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড সেট ব্যাটার জেসন রয় (৩৩ বলে ১৯)। ৫৪ থেকে ৫৫, এক রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

কিন্তু প্রমোশন পেয়ে ওপরে উঠা স্যাম কারান আর জেমস ভিন্স ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৪৯ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅফ বাউন্ডারিতে লিটন দাসের সহজ ক্যাচ হয়েছেন কারান (২৩)।

এরপর সেট ব্যাটার জেমস ভিন্সকে (৩৮) নিজের তৃতীয় শিকার বানান সাকিব। ক্রিজে থিতু হওয়ার আগেই এবাদত হোসেন বোল্ড করে দেন মঈন আলিকে (২)।

জস বাটলারকে নিয়ে ভয় ছিল। ইংলিশ অধিনায়ককে (২৬) এলবিডব্লিউ করে সেই ভয় দূর করেছেন তাইজুল ইসলাম। ১৫৮ রানে ৭ উইকেট হারানো ইংলিশরা এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি।

সাকিব আল হাসান ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার তাইজুল ইসলাম আর এবাদত হোসেনের।

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। দলীয় ১ রানেই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ‘ডাক’ মেরে ফেরেন লিটন দাস। শিকারি স্যাম কারেন। অপর ওপেনার তামিমকেও ১১ রানে ফেরান এই ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার। তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেন ৭১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৩ রানের ইনিংস। দীর্ঘদিন পর মুশফিকের ব্যাটেও দেখা যায় রান। ৬৯ বলে ফিফটি পূরণ করার পর দারুণ খেলছিলেন। একটা সময় সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও থামেন ৯৩ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৭০ রানে।

মুশফিক-শান্তর ৯৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতেই বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত্তি স্থাপিত হয়। পাঁচে নেমে সাকিব আল হাসান ছিলেন দুর্দান্ত। ৫৫ বলে ফিফটি তুলে নেন। তবে ইনিংসে একমাত্র ছক্কা মারা মাহমুদ উল্লাহ ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ব্যর্থ হয়েছে মেহেদী মিরাজ (৫), তাইজুলদের (২) নিয়ে গড়া লোয়ার মিডল অর্ডার। সাকিবের সঙ্গে ৫৯ রানের দারুণ জুটি গড়েও আফিফ করেন ২৪ বলে ১৫ রান। সাকবি ৭১ বলে ৭ চারে ৭৫ রান করে আউট হন। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন জোফরা আর্চার। দুটি করে নিয়েছেন স্যাম কারেন আর আদিল রশিদ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।