‘শিশুর পুষ্টিহীনতা রোধে এক ডলার বিনিয়োগে মিলবে ৪.৫৮ ডলার’

যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়ার হেলথ পলিসি এন্ড ম্যানেজমেন্ট অনুষদের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান ড. এম. মাহমুদ খান বলেছেন, শিশুর পুষ্টিহীনতা রোধে প্রতি এক ডলার বিনিয়োগে ভবিষ্যতে তা দেশের জন্য প্রায় ৪ দশমিক ৫৮ ডলারের সমান বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করবে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ‘দি ইকোনমিক্স অফ চাইল্ড আন্ডার-নিউট্রিশান ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক্স এর পৃষ্টপোষকতায় এবং ইডিউ ইকোন এক্যুমেন সোসাইটি কর্তৃক এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

সেমিনারে ড. এম. মাহমুদ খান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর বাংলাদেশের শিশু পুষ্টিহীনতার প্রভাব বিষয়ে আলোচনা করেন এবং আর্থিক বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, পুষ্টিহীনতার কারণে একজন শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত হওয়া ছাড়াও পরিণত বয়সে একজন সক্ষম শ্রমিক বা কর্মজীবী হিসেবে গড়ে উঠতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ফলে তারা বিভিন্ন খাতে কাম্য অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই শিশু পুষ্টিহীনতার পরিমাণ বেশ প্রবল। বাংলাদেশের শিশু অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে এবং তা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বেশ ভাল। বাংলাদেশ সরকার এবং অলাভজনক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে নিয়মিত গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান।

আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রফেসর এম. মাহমুদ খান বিদেশের মাটিতে অবস্থান করেও বাংলাদেশ ভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। যা অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যখাতে দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর শামস-উদ দোহা, রেজিস্ট্রার, মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ড. এম. মাহমুদ খান চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি হতে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।