শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ ভাষা সৈনিকদের

প্রাণের ভাষা-মায়ের ভাষা বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা ভাষা শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ।

২১ একুশের প্রথম প্রহরে নগরের মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ ভাষা সৈনিকদের 1

পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলওয়ে পুলিশ, চট্টগ্রাম জেলা আনসার কমান্ডার, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম কারাগার, পরিবেশ অধিদফতর, পরিচালক স্বাস্থ্য, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই হাজারো মানুষ হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান শহীদ মিনার অভিমুখী লাইনে। বিশিষ্টজনদের শ্রদ্ধা জানানোর পর উন্মুক্ত হয় শহীদ মিনার।

ভোর থেকে শহীদ মিনারের পথে হাজারো মানুষের ঢল নামে। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি হিসেবে ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারছেন। এছাড়া মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবি, র‌্যাব, সোয়াটের টিম, ডগ স্কোয়াড ও ক্রাইম সিন ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।