সন্দ্বীপবাসীর স্বপ্নের ফেরি চলাচলের জন্য নির্মিত হচ্ছে সংযোগ সড়ক

স্বাধীন দেশের প্রাচীনতম দ্বীপাঞ্চল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে সন্দ্বীপবাসীর নিরাপদ নৌ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে চালু হতে যাচ্ছে ফেরি চলাচল। সন্দ্বীপের মানুষদের নিরাপদভাবে নৌ পারাপারের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিসির ফেরি সার্ভিস দিতে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফেরি চলাচল শুরুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। যার মাধ্যমে পূরণ হতে যাচ্ছে সন্দ্বীপের ৫ লাখ মানুষের স্বপ্ন। ১২ মার্চ গাছুয়া আমীর মোহাম্মদ ফেরি ঘাটে সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা এবং সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৭ টি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মান কাজ চলছে। এসময় বিস্তারিত জানতে চাইলে ফেরি ঘাটের ইজারাদার এবং এই প্রকল্পের ঠিকাদার আদনান জাবেদ দৈনিক চট্টগ্রাম খবরকে বলেন চরাঞ্চল থেকে ৮ ফুট উঁচুতে ও ২০ ফুট চওড়া হবে এ সড়ক। এছাড়া ফেরির প্লাটফর্ম থেকে ১ হাজার ফুট করে দুপাশে ২ হাজার ফুট গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি নির্মাণ করছে এলজিইডি মন্ত্রনালয়। প্রকল্পটির ব্যায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ফেরি সার্ভিসের জন্য সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ দেখতে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান জানান, দ্রুত ফেরি সার্ভিস শুরু করতে পারলে দ্বীপের বাসিন্দাদের দূর্ভোগ কমবে। তাছাড়া মালামাল পরিবহন সাশ্রয় হবে এবং আমরা ব্যবসায়ীরা এতে উপকৃত হব।

সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য দুই পাশে যে অবকাঠামো দরকার সেটা নির্মাণের প্রাথমিক একটা ধাপ হলো গাছুয়া ঘাটে ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। সীতাকুন্ডের বাকখালী ঘাটেও একই ভাবে নির্মাণ করতে হবে সংযোগ সড়ক।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সন্দ্বীপ পরিদর্শন করে গাছুয়া ও চট্টগ্রামের বাকখালী রুটকে ফেরি চলাচলের জন্য নির্ধারণ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।