সবুজ পাহাড়ের গাছে গাছে ঝুলছে বাহারি স্বাদের লাল টসটসে লিচু

গাছে গাছে ঝুলছে লাল টসটসে লিচু। লিচুর ভারে মাটি ছুঁই ছুঁই অবস্থা গাছের। রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় এ বছর দেশী জাতের লিচুর ভালো ফলনের সাথে চায়না-২ ও চায়না-৩, বোম্বাই জাতের লিচুর ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের লিচু উৎপাদন হয়েছে। উপজেলার ভাসান্যাদম, খাগড়াছড়ি, চাইল্যাতলী, রাঙ্গাপানি ছড়া, মারিশ্যাচর, রাঙ্গিপাড়া, গুলশাখালী, রাজনগর, মানিকজোর ছড়া, বামেছড়া, গ্রামে বেশি লিচু চাষ হয়েছে।

উপজেলার চাইল্যাতলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়—লাল লিচুতে রঙ্গিন হয়ে আছে পুরো এলাকা। বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। কাঁচাপাকা বাহারি লিচুতে সবার যেন মন কেড়েছে। সেই সাথে লিচুর মৌ মৌ গন্ধে পুরো এলাকা এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে। লিচু চাষী, ব্যবসায়ী ও পাইকারদের আনাগোনায় এলাকাও গম গম করছে। বাগান গুলোতে গাছ থেকে লিচু পেড়ে বাজারজাত করতে গ্রামের নারী-পুরুষসহ সব বয়সের লোকজন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

স্থানীয় লুৎফর রহমান জানান, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ বছরের পর বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ করে আসছে। আমাদের গ্রামে এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে ৮—১০টি লিচু গাছ নেই। লিচু সুমিষ্ট ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় জেলা শহরসহ সারাদেশে এখানকার লিচুর বেশ কদর রয়েছে।

গ্রামের সোহাগ নামের আরেক যুবক জানান, আমাদের বাগানে বিভিন্ন জাতের ১০১টি লিচু গাছ আছে। এবার অন্যান্য জাতের চেয়ে চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এবার লিচু বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছি।

এক পাইকারের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার দেশী জাতের লিচু কেনাবেচা করতে গিয়ে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। আশা করছি বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচু বিক্রি করে সেই ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে। স্থানীয় বাজারে এখানকার ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, লিচু চাষের জন্য এখানকার মাটি খুবই উপযোগী। এখানে দেশী জাতের লিচুর পাশাপাশি বোম্বাই ও চায়না জাতের লিচু চাষ করা হয়। এ বছর সব জাতের লিচুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। লিচুর ফলন বৃদ্ধিতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।