সবুজ শহরে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ—ভোগান্তি, স্বাস্থ্যঝুঁকি

রাঙামাটি জেলাধীন কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলায় সুনির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের ব্যবস্থাপনা ও নজরদারি না থাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে।
ময়লা আবর্জনা ছিটিয়ে থাকার কারণে দুর্গন্ধে ভোগান্তির পাশাপাশি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।

সরেজমিনে কাপ্তাই, রাজস্থলী এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন শিল্প, গবাদি পশু এবং মানব সৃষ্ট উপায়ে উৎপাদিত বর্জ্য এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্ষুন্ন করার দৃশ্য উঠে আসে।

কাপ্তাই উপজেলার নতুন বাজার, জেটিঘাট বাজার, বিএফআইডিসি সংলগ্ন এলাকা, চিৎমরম ক্যায়াংঘাট, ব্যঙছড়ি বনবিভাগের বনফুল রেস্ট হাউজের সংলগ্ন, নতুন বাজার সংলগ্ন ঢাকাইয়া কলোনি, বরফ কল ও পাবলিক টয়লেটের সম্মুখভাগে। অন্যদিকে রাজস্থলী উপজেলার রাজস্থলী বাজার, উপজেলা পরিষদ, বাসস্ট্যান্ড এলাকা এবং বিলাইছড়ি উপজেলার বিলাইছড়ি বাজার, বোটঘাট, উপজেলা পরিষদের সম্মুখে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকাগুলোতে জনসাধারণের বসবাস ও চলাচল বেশি হওয়ায় তুলনামূলক বর্জ্যপ্রবণ এলাকা হিসেবে দৃশ্যমান হয়।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরে প্রতিদিনের বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। কিছু এলাকায় পুরোনো আমলের ডাস্টবিন থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। ফলে শহরবাসী যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে।

এ ব্যাপারে সচেতন মহল ও পরিবেশবাদীরা মনে করছেন এ অব্যবস্থাপনার ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, হ্রদের পানি ও নদীর পানি দূষিত হচ্ছে, মাছের উৎপাদন এবং প্রজনন কমে যাচ্ছে, রোগ বালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে, পর্যটকের সমাগম কমে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। দেশি বিদেশি পর্যটক এর সমাগম কমে যাওয়া ও এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে।

এ ব্যাপারে সমাধান কল্পে সংশ্লিষ্ট বিভাগের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন নাগরিক।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।