সাংবাদিক-সচিব পরিচয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ, র‌্যাবের হাতে ধরা

মোজাম্মেল হক চৌধুরী (৪৭)—কখনও সাংবাদিক, কখনও মন্ত্রণালয়ের সচিব আবার প্রয়োজন মতো পরিচয় দিতেন সরকারি কোন বড় কর্তারও। চলাফেরা করার গাড়িতে লাগানো থাকতো প্রেস কিংবা মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ও ফ্লাগ স্ট্যান্ড। আবার নিজের নামে ছিলো একাধিক সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনের কার্ড। শুধু তাই নয় মন্ত্রণালয়ের কার্ডও বানিয়েছেন তিনি। আর এসব ব্যবহার করে সরকারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা। টার্গেট বানাতেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক এবং সাধারণ জনগণকে। অবশেষে বহুরূপী এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

বুধবার (১৭ মে) র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বিষয়টি নিশ্তি করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ মে দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীদের করা অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক চৌধুরী ওরফে আলম (৪৭) ফেনী জেলার পরশুরাম থানা এলাকার কলাপাড়া এছাক চৌধুরীর ছেলে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব কর্মকর্তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে ভুয়া সচিব ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন মোজাম্মেল।

র‌্যাব জানিায়, সচিব পরিচয় দিয়ে শেরেবাংলা থানা এলাকায় মোজাম্মেলের নানান প্রতারণার অভিযোগ পায় র‍্যাব। গত ৯ মে গ্রেপ্তারের জন্য তার ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। কিন্তু অভিযান পরিচালনার আগে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। এ সময় বাসা থেকে তার ব্যবহৃত বিলাসবহুল পাজেরো জিপসহ দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়। পাজেরো জিপ থেকে মন্ত্রণালয়ের স্টিকার, ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড, দুটি আইডি কার্ড উদ্ধার করে র‍্যাব। দুটি কার্ডের মধ্যে একটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যু করা সচিবালয়ের প্রবেশপত্র এবং অপরটি ‘দৈনিক নয়াদেশ’ নামে পত্রিকার পরিচয়পত্র।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে ঢাকা শেরেবাংলা নগর এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণা অভিযোগে ২টি মামলার তথ্য পেয়েছে র‍্যাব। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।