সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি ‘ল’ এলামনাই এসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী

এসো উল্লাসে মেতে উঠি , প্রাণের মেলা- স্লোগানকে সামনে রেখে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি ‘ল’ এলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল শনিবার নগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এডভোকেট মনিরুজ্জামান সুমনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী চৌধুরী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নব নির্বাচিত সদস্য এডভোকেট বদরুল আনোয়ার, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, আইন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহিউদ্দিন খালেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রশিদ, আইন বিভাগের প্রধান মুর্তজা ইসলাম জোহান জেব তারেক, এডভোকেট মুজিবুল হক, এডভোকেট এনামুল হক, লয়ার্স ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আশরাফ হোসাইন চৌধুরী রাজ্জাক, জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিচারক, বিশিষ্ট আইনজীবী ও শিক্ষকসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, কাজ করলে ভুলত্রুটি হবে, তাই ভুল শুধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ইউজিসির আউটকাম বেসড কারিকুলামে এলামনাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ নিয়ে কারিকুলামে সংযোজন করতে হবে। যেকোন প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় এলামনাই এর সদস্যদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষায় এলামনাই এসোসিয়েশন সেতুবদ্ধন হিসেবে কাজ করে।

আর একটি শক্তিশালী এলামনাই এসোসিয়েশনের গঠনে প্রয়োজন একটি ফ্রেমওয়ার্ক যা ইতোমধ্যে আমি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করেছি। আমি মনে করি বিভাগভিত্তিক এলামনাই এর পাশাপাশি একটি কেন্দ্রীয় এলামনাই এসোসিয়েশন গঠিত হলে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের জন্য একটি বড় প্লাটফর্ম তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষকের স্বার্থকতা তখনই পূর্ণতা লাভ করে যখন ছাত্ররা সফলতায় শিক্ষককে ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক আজীবনের। এই বয়সে আমি নিজেও আমার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন অনুষ্ঠানে ছুটে যায় কারণ এর চেয়ে আনন্দের কোন উপলক্ষ হতে পারে না।

আমি মনে করি প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের যোগাযোগের জন্য একটি কেন্দ্রস্থল গড়ে দিতে সচেষ্ট, এটা দাবি নয় বরং তাদের অধিকার। আজ এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আশাকরি একতায় এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আজকের এই আয়োজন সাবেকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। যার মাধ্যমে সবার সাথে একে অপরের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আশা করি ভবিষ্যতেও এধরেনর আয়োজনে মুখরিত হবে চট্টগ্রাম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক এডভোকেট সালাউদ্দিন আলী নুর মিন্টু, সদস্য সচিব মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন এ্যাডভোকেট আজিজুল হক, এডভোকেট রোকনুজ্জামান মুন্না ও এডভোকেট ফারজানা।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্য মেজবানের পরে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মুখরিত ছিলো পুরো হল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।