সাজা মাথায় নিয়ে বিদেশ পালিয়ে যাবার আগেই র‌্যাবের জালে ধরা বাছনী

রাউজানের চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি বাছনী গ্রেপ্তার এড়াতে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার আগেই ধরা পড়লো র‌্যাবের জালে। র‌্যাব বাছনীকে গ্রেপ্তারের জন্য দীর্ঘদিন যাবত গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর একপর্যায়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া চৌধুরীর হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার পাসপোর্ট ও বিমানের টিকেট উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত বাছনী (৪৫) প্রকাশ বাছইন্যা চট্টগ্রামের রাউজান থানার সামিদার কেয়াং এলাকার জেবর মুল্লুকের ছেলে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব ৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাহবুব আলম বলেন, আটককৃত বাছনী ২০০৩ সালের ৫ অক্টোবর সন্ধায় মো. নাসের আহম্মদ রানা ও তার ফুফাতো বোনের জামাতাকে অস্ত্রের মুখে জোরপূবর্ক অপহরণ করে একটি প্রাইভেটকারে করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অপহৃত নাসের আহমেদের লাশ পাওয়া গেলে ৫ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় একটি একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও বাছনীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাউজান ও পাচঁলাইশ থানায় হত্যা, অপহরণ এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ সর্বমোট ১০টি মামলা পাওয়া যায়। গ্রেপ্তার এড়াতে বাছনী পলাতক থাকলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হলে র‌্যাব মামলাটির ছায়া তদন্তে নেমে একপর্যায়ে বাছনীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে রাউজান থেকে আটক করে।

র‌্যাব আরও জানায়, আটককৃত বাছনীর বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর নাসের আহমেদকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে রাউজান থানায় একটি মামলা করে পরিবার। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, নাসেরের বাড়িতে বাছনী পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আশ্রয়ের নাটক করে বাইরে পুলিশ আছে কিনা দেখতে নাসেরকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে বাছনী তার সহযোগীদের সহায়তায় টেক্সিতে করে ভিকটিমকে অপহরণের চেষ্টা করে। এসময় নাসেরের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে বাছনী ও তার সহযোহীরা পালিয়ে যায়।

অপহরণ চেষ্টার এ মামলায় আদালত ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর বাছনীকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।