সিনহা হত্যায় লিয়াকত ও প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যায় পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বহিস্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত অপর ১৩ আসামির মধ্যে ৬ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত ৭ জনের তিনজন এপিবিএন সদস্য।

৩১ জানুয়ারি (সোমবার) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে টেকনাফ থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব ও টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিনকে। এই তিনজনই প্রদীপের নানা অপকর্মের সহযোগী ছিল এবং সিনহা ও তার সঙ্গীদের মাদক কারবারী সাজানোর মামলায় স্বাক্ষী ছিল।

রায়ে খালাস পেয়েছেন এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া।

এর আগে ২টার দিকে এই মামলার ১৫ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালত চত্বরে আনা হয়। ২টা ২৫ মিনিটে এজলাসে এসে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর মামলা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করেন বিচারক। এরপর শুরু করেন অপরাধের পর্যবেক্ষণ বয়ান। সাক্ষ্য প্রমাণে কার কী অপরাধ দাঁড়িয়েছে সেসব তুলে ধরার পর হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অপরাধ অনুসারে সাজা ঘোষণাকালে প্রধান দুই অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন:
মেজর সিনহা হত্যা– রায় পড়া শুরু

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।