সিভাসুতে নমুনা পরীক্ষায় শতভাগ অমিক্রণ শনাক্ত

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে টেস্ট করা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ১০ জন রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। এতে সকলের শরীরে অমিক্রন ভেরিয়েন্টের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশের নির্দেশনায় এবং পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারের (পিআরটিসি) আর্থিক সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী এ গবেষণা পরিচালনা করেন।

গবেষক দলের সদস্য সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ বলেন, অমিক্রণ আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও মৃদু জ্বর ছাড়া মারাত্মক কোন লক্ষণ ছিল না।

তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ রোগীর শরীরে ‘বিএ২’ ধরণের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যা তেমন বিপজ্জনক না হলেও অধিকতর সংক্রমণশীল।’

গবেষকরা জানান, সিভাসু ল্যাবে টেস্ট করা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ১০ জন রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। এতে সকলের শরীরে অমিক্রন ভেরিয়েন্টের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, সংক্রমণের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির ৬৮টি বার জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। দশটি নমুনার মধ্যে সবকটি নমুনায় অমিক্রন ভ্যারিয়েট (B1.1529) এর উপস্থিতি রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি নমুনায় অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (বিএ২) শনাক্ত করা হয়।

অমিক্রণ শনাক্ত হওয়া নমুনাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম নগর এলাকার সাতজন, অপর তিনজন হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকার করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও এক জন মহিলা।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক ৩০ জনের নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সিং করেন। তারা তথ্য দেন চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ৭৫ শতাংশই অমিক্রণ আক্রান্ত।

এসআই/এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।