সীতাকুণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনা-বিমান-নৌবাহিনীও

সকাল থেকে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, যুক্ত হলো বিজিবিও

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বড়কুমিরাস্থ ইউনিটেক্সের তুলার গোডাউনের লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর টিম মাঠে নেমেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ৮টি টিমের সাথে সেনা ও নৌবাহিনীর ৪টি করে ৮টি ইউনিট, বিমান বাহিনীর ২টি ইউনিট এবং বিজিবির ৪টি ইউনিট এক যোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এছাড়া তুরস্কে ভুমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকার্যে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম USAR (Unit Search and Rescue Team)ও যুক্ত হয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মাহমুদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট কাজ শুরু করেছিল।

মধ্যরাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম তদারকি করতে দেখা যায়।

সীতাকুণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনা-বিমান-নৌবাহিনীও 1

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, শনিবার সকালে ইনিটেক্স গ্রুপের একটি গুদামে ঝালাইয়ের কাজ চলাকালে আগুনের ফুলকি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ফাইটাররা কাজ করেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় জেলা প্রশাসক স্যার সেনা-বিমান ও নৌ বাহিনীর সহযোগিতা চান।

এরপর থেকে একে একে ঘটনাস্থলে আসতে থাকে সব বাহিনীর অগ্নি নির্বাপনের কাজে দক্ষ ইউনিটগুলো।

সীতাকুণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনা-বিমান-নৌবাহিনীও 2

রাত ১২টায় সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বরাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আগুন এক দিকে নিয়ন্ত্রণে এলে অপর দিকে দাউ দাউ জ্বলে ওঠে। এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার সুনির্দিষ্ট কোনো আগাম তথ্য দেওয়া তাদের পক্ষেও সম্ভব নয়।

ইউনিটেক্সের ফ্যাক্টরির গুদামে ২ হাজার ৭০০ টন তুলা মজুদ ছিল। তুলা দাহ্য পন্য হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণের আনা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।