সীতাকুণ্ডে ইফতারে বাধা দিতে গিয়ে ধাওয়া খেলো ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক

সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বাধা দিতে গিয়ে সভাপতি শিহাব এবং সাধারণ সম্পাদক জিলানী ছাত্রলীগ নেতাদের ধাওয়া খেয়ে মসজিদে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে বলে জানান সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সীতাকুণ্ড সদরে এই ঘটনা ঘটেছে।

ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, দুই বছর আগে টাকার বিনিময়ে পদে কেনা ছাত্রলীগ সভাপতি শিহাব ও সেক্রেটারি জিলানী ছাত্রলীগের ব্যানারে আয়োজিত ইফতারে বাধা দিতে যায়। এসময় তারা চারটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেন।

পরে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে শিহাব ও জিলানীর অনুসারিরা তাদের রেখে পালিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে শিহাব ও জিলানী মসজিদে আশ্রয় নেন। তারা মসজিদে প্রায় আধাঘন্টার বেশী অবরুদ্ধ থাকেন। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।

সীতাকুণ্ডে ইফতারে বাধা দিতে গিয়ে ধাওয়া খেলো ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক 1

সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে উপজেলা অডিটরিয়ামে ইফতারের আয়োজন হলে শিহাব- জিলানও একই সময়ে একই স্থানে ইফতারের আহ্বান করে। পরে প্রশাসন বরাদ্দ বাতিল করে। অডিটোরিয়ামে বরাদ্দ বাতিল হওয়ায় ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদের মাঠেই ইফতারের আয়োজন করে। সেখানে গিয়ে শিহাব ও জিলানের অনুসারীরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়।

তারা আরও বলেন, ককটেল বিষ্ফোরণের পর শিহাব ও জিলানের অনুসারীদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে শিহাব-জিলানীকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে শিহাব ও জিলানী গিয়ে আশ্রয় নেয় মসজিদে। সেখান থেকে প্রশাসনের লোকজন তাদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দু’পক্ষ একই জায়গায় ইফতার করতে চাইলে একটু উত্তেজনা তৈরী হয়েছিল। পরে সেটা নিরসন হয়েছে।

ইফতার মাহফিলে বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই কমিটি ভেঙ্গে নতুন করে কমিটি দেওয়ার আহ্বান জানান। বর্তমান কমিটি মেয়াদ দুই বছর হলেও তারা কোনো ওয়ার্ড কিংবা ইউনিট কমিটি করতে পারেনি। থানা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও করতে পারেনি।

এছাড়াও শিহাব-জিলানী টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।