সীতাকুণ্ডে একরাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪—সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চাঞ্চল্যকর সিএনজি ড্রাইভার একরাম হত্যা মামলার ছায়া তদন্তে নেমে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন ও সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— সীতাকুণ্ড পৌরসভার পেশকারপাড়ার মো. তাজুল ইসলামের ছেলে মো. জাহেদ হোসেন, পৌরসভার মধ্যম মাজেদপুরের মোহাম্মদ জাফরের ছেলে নূর আহাম্মদ, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ সাকিব ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের উত্তর মাহমুদাবাদ এলাকার মো. রুহুল আমিনের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিেশেনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার নামজুল হাসান পিপিএম চট্টগ্রাম খবরকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গ্রেপ্তরকৃতরা বলেন, তারা একরামকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে চাপ দিলে এমরান চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এমরানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

এরপর সন্ধায় নূর আহাম্মদ সিএনজি অটোরিক্সা চাপা দিয়ে এমরানের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর, বুকে, তলপেটে, পিঠে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। হাসপাতালে নেয়ার পথেই সে মারা যায়।

তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে তোলা হলে আদালত সাকিব ও রানার ৩ দিন এবং নুর আহাম্মদ ও জাহেদ হোসেনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর একরাম হোসেন সিএনজি নিয়ে বের হলে আর ফিরে আসেনি। রাতে সীতাকুন্ড পৌরসভার ইপসা অফিসের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একরাম হোসেনের চালিত সিএনজি অটোরিক্সার পাশে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন গাড়িসহ তাকে উদ্ধার করে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করে। চমেকে নেওয়ার পথেই একরাম মারা যায়। এঘটনায় নিহতের ভাই ভাই নুরুল হুদা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।