সীতাকুণ্ডে ১০ হাজার অবৈধ এলপিজি সিলিন্ডারসহ ৯ জন গ্রেফতার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ করেছে র‌্যাব-৭। এ সময় অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদের অপরাধে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত দুইদিন সীতাকুণ্ড

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টানা দুই দিনের অভিযানে সিলিন্ডার কাটার তিন মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭। অভিযানকালে ১০ হাজার অবৈধ এলপিজি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

অভিযানে গ্রেফতার হওয়া তিন মূল হোতা হলেন হাজি শফিউর রহমানের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে কুসুম (৫১), ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মো. মহসীন (৫১) ও ছিদ্দিক আহম্মেদের ছেলে মো. নুরন নবী (৪৮)। সংবাদ সম্মেলনে গ্যাস সিলিন্ডার কাটার তিন মূল হোতার নাম প্রকাশ করলেও বাকিদের নাম-পরিচয় জানায়নি র‍্যাব।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার জানান, গত ৪ জুন বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ডের তুলাতলীর জনবহুল গ্রামে অবৈধ চোরাই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ করে। পরে এসব গ্যাস সিলিন্ডার কেটে টুকরো করে তা বিভিন্ন রি-রোলিং মিলে বিক্রি করে আসছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা দুই দিন অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার কাটা সিন্ডিকেটের তিন মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা কুসুমের ডিপো, ফকিরা মসজিদের উত্তর পাশের এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার (যার মধ্যে ২ হাজার কাটা সিলিন্ডার) ও দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘বিস্ফোরক পরিদপ্তরের ছাড়পত্রের মাধ্যমে প্রথমে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ১০ বছর ব্যবহারের পর পুনরায় পরীক্ষা করে ব্যবহারের উপযোগী হলে আরও ৫ বছর ব্যবহারের পর বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সদস্যদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এলপিজি সিলিন্ডার ধ্বংস করার কথা।

গ্যাস সিলিন্ডার বাইরে কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। কিন্তু আসামিরা কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত লাভের জন্য চোরাইভাবে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ করে সেগুলো কেটে বিভিন্ন রি-রোলিং মিলে সরবরাহ করে থাকে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করলেও বিষয়টির প্রতিকার পেতে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।’

নুরুল আবছার জানান, অভিযানে মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৯ জনকে মামলা দায়েরের পর সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, অবৈধ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ ও মূল হোতাসহ ৯ জন গ্রেপ্তারের ঘটনায় র‍্যাব-৭ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।