সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃত্বে ইউসুফ-মুকুল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের বার্ষিক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোহাম্মদ ইউসুফ খান সভাপতি ও ভোটের মাধ্যমে এমরানুল ইসলাম মুকুল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রেজাউল হোসেন পলাশ।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল চারটায় সীতাকুণ্ড পৌরসদরস্থ রিপোর্টার্স ক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সীতাকুণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুনীল বন্ধু নাথ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী নির্বাচন কমিশনার হযরত সাদেক মস্তান (রহঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর সাদেক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা।

ভোটে সভাপতি পদে একক প্রার্থী হওয়ায় দৈনিক ভোরের কাগজের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি মো. ইউসুফ খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পরে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে দৈনিক আমার বার্তার সিনিয়র রিপোর্টার এমরানুল ইসলাম মুকুল সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি রেজাউল হোসেন পলাশ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের সকল সদস্যের মৌখিক স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও মতামতের ভিত্তিতে কমিটির অন্যান্য পদে ১০ জন সদস্যকে মনোনীত করে আগামী এক বছরের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করেন।

এতে মেজবাহ উদ্দীন খালেদকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইব্রাহিম খলিলকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এছাড়াও এম কে মনিরকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফারহান সিদ্দিককে অর্থ সম্পাদক, ইমাম হোসেন ইমনকে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে।

কমিটিতে মাহমুনুর রশিদ মাহিনকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জয়নাল আবেদীনকে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়াও টিপু দাশ গুপ্ত ও কামরুজ্জামান কামরুলকে নির্বাহী সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।

নব নির্বাচিত কমিটি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অধিকার আদায়, জীবনমান ও পেশাগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

এর আগে, রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে এদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলা সাধারণ সভায় আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকাল তিনটা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৮ জন সদস্য ব্যালটের মাধ্যমে দুটি পদে (সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক) স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।