সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিস্ফোরণে নিহত আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

মামলার আসামিরা হলেন- সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুন উদ্দিন (৫৫), পরিচালক পারভেজ হোসেন (৪৮), আশরাফ উদ্দিন বাপ্পি (৪২), ম্যানেজার আব্দুল আলীম (৪৫), প্ল্যান্ট অপারেটর ইনচার্জ সামসুজ্জামান শিকদার (৬২), প্ল্যান্ট অপারেটর খুরশিদ আলম (৫০), সেলিম জাহান (৫৮), নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, অ্যাডমিন অফিসার গোলাম কিবরিয়া, অফিসার শান্তনু রায়, সামিউল, সুপারভাইজার ইদ্রিস আলী, সানা উল্লাহ, সিরাজ উদ-দৌলা, রাকিবুল ও রাজীব।

মামলায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুন উদ্দিন ও তার দুই ভাইসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ মামলাটি তদন্ত করবেন। তদন্ত শেষ হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মামলার এজাহারে বাদী রোকেয়া বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী ১০-১৫ দিন আগে বলেছিলেন, ‘কারখানায় অর্থের অভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের ছাঁটাই করছে। বর্তমানে যারা কাজ করছে তারা অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ। আল্লাহই জানেন, কখন কী দুর্ঘটনা ঘটে যায়।’ একথা শুনে তারা খুব চিন্তিত ছিলেন। এর মধ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত কারণে কারখানার অক্সিজেন কলামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে বাদী তার স্বামীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান। সেখানে তার স্বামী কিছুক্ষণ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।

কারখানাটিতে বিপজ্জনকভাবে গ্যাস উৎপাদন, ভর্তি ও সরবরাহ করা হতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনসহ মোট সাত জন নিহত ও আহত হয়েছে ৩০ জনের অধিক।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।