চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিনগামী বিলাসবহুল বে ওয়ান ক্রুজের ইঞ্জিনে আগুন লেগেছে। ফলে মাঝ পথে নোঙর করেছে জাহাজটি। এতে যাত্রীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ও ভীতি তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টায় বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর আমিনুল হক বাবু।
তিনি বলেন, রাত সোয়া ১০টা পতেঙ্গা থেকে জাহাজটি ছেড়ে আসে। রাত সোয়া ১২টার দিকে আমরা কেবিন থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পেয়ে বের হই। ছাদে গিয়ে প্রচুর ধোঁয়া দেখলাম। তখন আতঙ্কে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করছিল।
তিনি আরও বলেন, দুই ঘন্টা চলার পর যে স্থানে আসার কথা আমরা সেখানেই আছি। রাতের আঁধার হওয়ায় লোকেশনটা আমরা বুঝতে পারছি না।
নিরাপত্তার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অবস্থায় ইঞ্জিন যদি চালু করে, আবার কোন দুর্ঘটনা যদি ঘটে এমন আতঙ্কে আছি আমরা প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী। জাহাজের যাত্রীদের সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে অপেক্ষায় আছে।
জাহাজটির মালিক কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এমএ রশিদ চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, জাহাজের একটি ইঞ্জিনের বাতাস লক হয়ে গিয়েছিল। কয়েকটি তার পোড়ায় গন্ধ ছড়ায়। মোবিল পুড়ে ধোঁয়া বের হয়। এতে অনেকেই আতঙ্কিত হন।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, জাহাজের যা যাত্রী আছে তার তিনগুণ নিরাপত্তা সামগ্রী আছে। এই জাহাজ পুরো এক সপ্তাহ সাগরে ভাসলেও কোন কিছুর সংকট হবে না। আমরা দ্রুত একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।