স্কুলশিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্কুলের শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

বুধবার (১ মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলার সাহেরখালী ভোরের বাজার এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মীর হোসেনের সঞ্চালনায় সাহেরখালি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাসান মাহফুজ চৌধুরীর সভাপতিতে শিক্ষকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবু ছালেক, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক কমল ভৌমিক, স্থানীয় মহালঙ্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস মিয়া, আবুল কাশেম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, শফিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সুফিয়ান, মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূইঁয়া, সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মেজবাউল হক প্রমুখ।

এছাড়া বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেয় ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাসফিয়া জান্নাত ও অপূর্ব দেবনাথ।

মানববন্ধন শেষে বক্তারা জানান , হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুলের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেন শিক্ষক নেতারা।

মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকার জানান, আমরা শিক্ষকের উপর হামলার বিচারের দাবিতে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবো। প্রাথমিক পর্যায়ে আজকের এই আন্দোলন। আন্দোলন শেষে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে তাকে অবহিত করেছি। তিনি আজকের মধ্যে মামলা রুজুকরে মামলা নাম্বার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানায়, সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের উপর হামলার বিষয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইউনুস শ্রেণী কক্ষে গোলযোগ করায় তার বিষয়ে তৎকালিন প্রধান শিক্ষক নাদেরুজ্জামান আজাদকে অবহিত করেন আহত শিক্ষক আবু ইউসুফ। তখন প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রকে ডেকে শাসন করে। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় প্রায়’শ গালি-গালাজ করতো, হুমকি দিতো ওই ছাত্র। তবে ইউনুছ বর্তমানে পড়ালেখা করে না। এলাকায় বখাটেপনা করা তার পেশা। সর্বশেষ রোববার বিকেল ৪টায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গতিরোধ করে ইউনুস সহ আরো কয়েকজন মিলে হামলা করে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নাদেরুজ্জামান আজাদকে অবহিত করে তার বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার হামলা করে। সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইউনুস, তার বাবা নুরুল হক, ভাই ইলিয়াছ, মা রোকেয়া, বোন তানজিনাসহ আরো কয়েকজন মিলে আমাদের বাড়িতে এসে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।