স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ—ইউপি সদস্য কারাগারে

সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহেদ সুলতান চৌধুরী ওরফে রবিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের লালানগর এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতজাহেদ সুলতান চৌধুরী ওরফে রবিন উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর এলাকার ইউপি সদস্য। সে ওই এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলার পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোররাতে ছোট দারোগার হাটের লালানগর এলাকার জনৈক ইসমাইল হোসেনের বাড়ি থেকে প্রধান অভিযুক্ত রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সকালে অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর সঙ্গে কারখানায় যাওয়ার পথে কেশবপুর এলাকায় পৌঁছালে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিন ও তাঁর সহযোগীরা জোর করে নারী শ্রমিক ও তাঁর স্বামীকে ইউপি সদস্যের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে মারধর ও প্রাণনাশের ভীতি প্রদর্শনপূর্বক টাকা, মোবাইল ও অলংকার ছিনিয়ে নিয়ে বেঁধে রেখে তার সামনেই ধর্ষণ করে স্ত্রীকে। ধর্ষণ শেষে ওই নারীর অনুরোধে ফোন ফিরিয়ে দিলে, ভুক্তভোগী কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে তাদের উদ্ধারে পুলিশের সহায়তা চান।

পুলিশ আরও জানায়, খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে ইউপি সদস্য ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) ভর্তি করানো হয়।
রোববার রাতে ওই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে ইউপি সদস্য রবিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।