হানিফ-ইয়াছিনসহ ৫ জন ৩ দিন করে রিমান্ডে

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট এলাকার হামলা চালিয়ে পুলিশ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া মাদক কারবারী ও হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি চক্রের গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব শুনানি শেষ এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলো মোহাম্মদ হানিফ ও তার ভাই ইয়াসিন (হিজড়া ইয়াসিন), রেজাউল করিম, মহিউদ্দিন শরীফ এবং মোহাম্মদ হৃদয়। চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার রাতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী থেকে হানিফ ও ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপর তিনজনকে নগর ও জেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শনিবার কালুরঘাট এলাকায় মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শরীফ ও মোহাম্মদ হানিফ নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একপর্যায়ে হানিফের অনুসারীরা ফাঁড়িতে হামলা হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেন। হামলার ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে হানিফের বোন নাজমা আক্তার গত শনিবার রাতেই নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।

পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শরীফসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার রাতে কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শরীফ রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে চাদগাঁও থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ২১০ জনকেও আসামি করা হয়।

এ ছাড়া ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় হানিফ ও শরীফকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই রাতেই আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

হানিফ, ইয়াছিনরা বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনছুর আলম বাপ্পীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কালুরঘাট এলাকায় মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। তবে মনছুর আলম বাপ্পী ওই এলাকায় মাদক ব্যবসার জন্য তার ভাই মো. আলম ববিকে দায়ী করে ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে আলোচনায় এসেছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।